টেকনাফ প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের টেকনাফে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মোহাম্মদ উসমান সিকদার (৩৮) নামের এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের কচুবনিয়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
তিনি সাবরাং ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। আজ শুক্রবার (১ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ফজরের নামাজ আদায় করে মসজিদ থেকে যাওয়ার সময় বাড়ির সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর হোসেন এবং টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম। টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) খোরশেদ আলম বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ইয়াবা ও মানব পাচারকারী হিসেবে তালিকাভুক্ত।
পুলিশ নিহত যুবলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করছে।ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উসমান সিকদারের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় একটি ইজিবাইক (টমটম) চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এর প্রতিবাদ করেন উসমান শিকদার।
এ সময় উপজেলার সাবরাং নয়াপাড়া বাজারে প্রকাশ্যে দিবালোকে সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ওরফে খুলু মেম্বারের ছেলে মোহাম্মদ শাকের ও কাটাবনিয়ার মোহাম্মদ কাসিমের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ অতর্কিতভাবে উসমান সিকদারের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে আহত করেন। এরপর উসমান সিকদার বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি অভিযোগ করেন।
ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে ফজরের নামাজ আদায় করে মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাকে গুলি করে হত্যা করেন। গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উসমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আয়ুব হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার আগে উসমান শিকদার মারা গেছেন। তার বুক, পেট ও পিঠে তিনটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।
পাঠকের মতামত: